স্মার্টফোন সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ভুল ধারনার অবসান

স্মার্টফোন সম্পর্কে আমাদের কত যে ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে ভাবতেই পারবেন না। আমরা যা শুনেছি পুরোটাই বোধহয় ভুল ছিল। আজকে আপনাদের এরকম তিনটে চারটে পয়েন্ট বলবো যা শুনে আপনিও তাজ্জব হয়ে যাবেন।

প্রথমত পয়েন্ট
আমরা মনে করি যে স্মার্টফোনের বেশি রেম মানেই ফোন বেশি ফার্স্ট কাজ করবে, না এইটা একেবারেই ভুল ধারণা। সেই দায়িত্বটা পুরোপুরি আছে সিপিইউর ওপর। আপনার স্মার্টফোনের রেম তাহলে কি কাজে লাগে..? স্মার্টফোনের রেমের কাজ হলো যত বেশি রেম হবে তত বেশি অ্যাপ্লিক খোলা থাকবে, ঠিক এর সাথে সম্পর্কিত। 

স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন


দ্বিতীয় পয়েন্ট
আমরা ফোনের বিভিন্ন রকম ব্যাকগ্রাউন্ডে যে অ্যাপ্লিকেশন চলছে সেগুলোকে ক্লোজ করে দেই তাতে আমাদের ফোনে নাকি পারফরম্যান্স বেড়ে যায়। ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো হয়। এটাও পুরোপুরি ভুল ধারণা। যেনে রাখুন আমাদের ফোন এমনভাবে ডিজাইন করা হয় স্মার্টফোন যখন নিজের যখন প্রয়োজন বুঝবে তখন নিজেই অ্যাপ ক্লোজ করে দেবে এবং এটা প্রমাণিত। আপনি যদি ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ক্লোজ করে দেন তাহলে আপনার ফোনের ব্যাটারি উল্টে বেশি চার্জ খরচা হয়। আপনার ফোন উল্টে বেশি স্লো হয়ে যায়।

তৃতীয় পয়েন্ট
আমাদের ফোনের সফটওয়্যার আপডেট সব সময় করা উচিত তাহলে ফোন ফার্স্ট থাকে। নতুন নতুন ফিচার পাওয়া যায়, এছাড়াও কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে ফোন খারাপ করে দেয় এমন ধারনাও প্রচলিত আছে। এটা একেবারেই সঠিক নয়।

স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন

কত সালে স্মার্টফোন আবিষ্কৃত হয় : ১৯৯৪ সালে আইবিএম আর মিতসুবিসি ইলেকট্রিক কর্পোরেশন যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছিল বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন। তারা ফোনটির নাম দেয় সিমন। তাদের স্মার্টফোন বাজারে আসার ১৫ বছর পরে অ্যাপল আইফোন বাজারে আসে।

আকৃতি : সিমন বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যে ফোনে কোনো কি-প্যাড ছিল না। বর্তমান সময়ে বাজারে পাওয়া অভিনব স্মার্টফোনের মতোই টাচস্ক্রিনে ভেসে ওঠা নম্বরে আঙুল ছুঁইয়ে কল করতে হতো। ফোনটির দৈর্ঘ্য ছিল ৮ ইঞ্চি, চওড়ায় ২.৫ ইঞ্চি এবং ফোনটি ১.৫ ইঞ্চি পুরু ছিল। ওজন ছিল ৫০০ গ্রাম।

যেসব ফিচার ছিল : বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনের মেমরি ছিল মাত্র ১ এমবি। ফোনের ব্যাটারিও ছিল খুবই দুর্বল। কারণ একবার ফুল চার্জ দেয়ার পর মাত্র ১ ঘণ্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যেত। বর্তমান স্মার্টফোনের মতো অনেক ফিচার সিমনেও ছিল। ম্যাপিং, স্প্রেডশিট গেম, নোটপ্যাড, ফ্যাক্স এমনকি মেইল আদান-প্রদানও করা যেত এ স্মার্টফোনে।

কবে উন্মুক্ত হয় এবং দাম কত ছিলো : ১৯৯৪ সালের ১৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে উন্মুক্ত হয় সিমন। দাম ছিল ৮৯৯ ডলার। সে সময় এক বছরের মধ্যে মোট ৫০ হাজার ইউনিট সিমন বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৫ সালেই এ ফোনের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় আইবিএম আর মিতসুবিসি।

কোথায় পাওয়া যেত বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন : সিমন ফোনটি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যেত। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি রাজ্যের টেলি নেটওয়ার্কের আওতায় এটি ব্যবহার করা যেত। এ বছরই স্মার্টফোন আত্মপ্রকাশের ২৫ বছর পূর্ণ হল। ২৫ বছর আগের সিমন স্মার্টফোনটি বর্তমানে লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে রাখা হয়েছে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক কেমন লাগলো এই তথ্য গুলো, আশাকরি ভালো লেগেছে। এমন আরো অনেক নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। দরিদ্র আইটির সকল পোষ্টের আপডেট পেতে আমাদের Google News ফলো করে রাখুন। ধন্যবাদ। 

Post a Comment

Previous Next

نموذج الاتصال

This Template Designed By E10Script