বর্তমানে পুরো বিশ্বে যতগুলি সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং উন্নত যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। এই ফেসবুক এখন দেশি বিদেশিদের কাছে যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। শিক্ষিত লোক জন ফেসবুক ব্যবহার করেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবেন না।
তাই এই ফেসবুকের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অনেক দিক থেকে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হই। সবচাইতে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হই ফেক বা ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে। তো আজকে আমি আপনাদের কে জানিয়ে দিবো, আপনি যে ফেসবুক আইডির সাথে যোগাযোগ করছেন, সেটি ভুয়া ফেসবুক আইডি কিনা সেটা বুঝবেন কিভাবে।
{tocify} $title={Table of Contents}
আর ফেসবুকের মাধ্যমে যদি ব্যাবসায়িক দিক চিন্তা করে থাকেন। তাহলে তো সবার আগে আপনার প্রোফাইলটি আসল হওয়া উচিত। কারণ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি বিজনেস ক্রিয়েট করেন ফেসবুকে বা আপনার প্রোফাইল তৈরি করেন। আর সেটি যদি আসল হয়। তাহলে আপনাকে চিনতে এবং আপনার ব্যবসাকে বিশ্বাস করতে কাস্টমারের বেশি সময় লাগবে না।
এজন্য ফেসবুক বিশেষজ্ঞরা এটিকে বিশেষভাবে মনে করে যে ফেসবুকে যে কেউ আইডি খুললে সেটি যাতে ফেইক আইডি না হয়। আসল আইডি হয়। তাহলে সর্বক্ষেত্রেই উপকারে আসবে।
কেন মানুষ ফেসবুকে প্রোফাইল বা ফেসবুক আইডি তৈরি করে
ভুয়া ফেসবুক আইডি চেনার আগে আপনাদেরকে একটু বলে নেই কেন মানুষ ফেসবুকে প্রোফাইল বা ফেসবুক আইডি তৈরি করে। বর্তমানে ফেসবুক আইডিটি একদম নিজের আসল পরিচয় দিয়ে তৈরি করা খুবই জরুরী। কারণ আপনি যদি ফেসবুক প্রোফাইল আইডিটি আপনার আসল পরিচয় দিয়ে খুলে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব পরিচিত যে কেউ খুব সহজে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ এবং চিনতে পারবে। হতে পারে এমন আপনর অতি পরিচিত কোন বন্ধবান্ধব আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে আপনাকে চিনি নিবে বা খুজে পাবে।আর ফেসবুকের মাধ্যমে যদি ব্যাবসায়িক দিক চিন্তা করে থাকেন। তাহলে তো সবার আগে আপনার প্রোফাইলটি আসল হওয়া উচিত। কারণ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি বিজনেস ক্রিয়েট করেন ফেসবুকে বা আপনার প্রোফাইল তৈরি করেন। আর সেটি যদি আসল হয়। তাহলে আপনাকে চিনতে এবং আপনার ব্যবসাকে বিশ্বাস করতে কাস্টমারের বেশি সময় লাগবে না।
এজন্য ফেসবুক বিশেষজ্ঞরা এটিকে বিশেষভাবে মনে করে যে ফেসবুকে যে কেউ আইডি খুললে সেটি যাতে ফেইক আইডি না হয়। আসল আইডি হয়। তাহলে সর্বক্ষেত্রেই উপকারে আসবে।
এখন প্রশ্ন হল তাহলে মানুষ কেন এত ফেইক বা ভুয়া ফেসবুক আইডি তৈরি করে ?
ফেসবুকে ফেক আইডি খোলার মূল কারণ হচ্ছে, যারা ছদ্য নাম ধারণ করতে ভালোবাসে বা নিজের নামকে গোপন রাখতে ভালবাসে এবং এই নামকে গোপন রেখে পারিবারিকভাবে অন্য কারো নাম ব্যবহার করে অন্য কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করে বা বিভিন্ন তথ্য প্রদান বা তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করার লক্ষে তারা এই ফেক আইডি বা ভুয়া ফেসবুক আইডি গুলি তৈরি করে থাকে।
এছাড়াও ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে অনেকের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে তার অর্থনৈতিক টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। বর্তমানে এই ফেসবুকের ফেক আইডির মাধ্যমে এমন কোনো কার্য নাই যে টি সম্পাদন করছে না এই অসাধু ব্যক্তিরা। এজন্য আমাদের নিজেদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই অসাধু ব্যক্তিদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফেসবুকের ফেক প্রোফাইল আইডি চিনে রাখতে হবে, এবং এদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে।
এছাড়াও ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে অনেকের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে তার অর্থনৈতিক টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। বর্তমানে এই ফেসবুকের ফেক আইডির মাধ্যমে এমন কোনো কার্য নাই যে টি সম্পাদন করছে না এই অসাধু ব্যক্তিরা। এজন্য আমাদের নিজেদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই অসাধু ব্যক্তিদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফেসবুকের ফেক প্রোফাইল আইডি চিনে রাখতে হবে, এবং এদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে।
ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল বা ফেক ফেসবুক আইডি চেনার উপায়
একটি নকল ফেসবুক প্রোফাইল দেখতে যেকোনো সাধারণ আইডির মতো, তবে কিছু সাধারণ জিনিস সব ফেক আইডিতে সাধারণ। আসুন জেনে নিই ফেসবুকে ভুয়া প্রোফাইল শনাক্ত করার কিছু কার্যকরী উপায় সম্পর্কে।
১। জাল, চুরি ছবি বা অন্যের ছবি
১। জাল, চুরি ছবি বা অন্যের ছবি
একজন সাধারণ মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া সব ঘটনাই প্রায় সবাই ফেসবুকে শেয়ার করেন, কিন্তু ফেক প্রোফাইলের ক্ষেত্রে তেমন কিছু থাকে না। বেশিরভাগ নকল প্রোফাইল শুধুমাত্র ছবি পোস্ট করে, এবং এই ছবিগুলি সাধারণত অন্য ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে চুরি করে পোষ্ট করে থাকে।
২। প্রোফাইল ছবি
২। প্রোফাইল ছবি
Facebook অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত প্রোফাইল ছবি সম্পর্কে আপনার সন্দেহ থাকলে, আপনি Google Reverse Search, TinEye বা Pixsy-এর মতো পরিষেবা ব্যবহার করে ছবির আসল উৎস খুঁজে দেখে নিতে পারেন। যদি ছবিটি ইতিমধ্যেই অন্য কেউ ইন্টারনেটে আপলোড করে থাকে, তাহলে বুঝবেন যে ফেসবুক প্রোফাইলে আপনি যে ছবিটি দেখছেন সেটি সম্ভবত একটি ভুয়া প্রোফাইল।
৩। অদ্ভুত টাইমলাইন
৩। অদ্ভুত টাইমলাইন
কখনও কখনও হ্যাক করা অ্যাকাউন্টগুলি ভুয়া অ্যাকাউন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পুরানো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট গুলির চাহিদা বেশি, তাই কেউ যদি একটি নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে অন্য কাউকে ছদ্মবেশী করে, তবে এটি বোঝা সহজ। টাইমলাইন ব্রাউজ করার সময় পোস্টের অসঙ্গতি দ্বারা একটি জাল প্রোফাইল সনাক্ত করা যেতে পারে।
৪। অনেক বেশি পোস্ট থাকবে
৪। অনেক বেশি পোস্ট থাকবে
আবার অনেক সময় দেখবেন পুরনো ID কোনো পোস্ট নেই। এই অ্যাকাউন্টগুলি মূলত ভুয়া। আবার অনেক ফেইক অ্যাকাউন্টে দেখা যায় একটা নির্দিষ্ট সময়ে অনেক বেশি পোস্ট করা, হঠাৎ করেই পোস্ট বন্ধ হয়ে যায়।
৫। অদ্ভুত আবেদন
৫। অদ্ভুত আবেদন
আপনার পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের মধ্যে কেউ যদি হঠাৎ করে গোপনীয় তথ্য বা আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে, সতর্ক থাকুন। এই ক্ষেত্রে, কোনও তথ্য বা অর্থ প্রদানের আগে, ব্যক্তিকে ফোন করুন এবং তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
৬। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে
৬। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে
অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করা প্রতারণার একটি খুব পুরানো রূপ। তাই কোনো ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বা বন্ধু তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এমন অনুরোধ করলে আগে ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করে নিন।
৭। মিউচুয়াল ছাড়া ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
৭। মিউচুয়াল ছাড়া ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
আপনি যদি হঠাৎ করে এমন অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পান যেগুলোতে মিউচুয়াল ফ্রেন্ড নেই, তাহলে বুঝবেন কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট টার্গেট করেছে। মিউচুয়াল ফ্রেন্ড ছাড়া পাঠানো বেশিরভাগ রিকোয়েস্ট ভুয়া।
আবার অনেক অ্যাকাউন্ট মিউচুয়াল ফ্রেন্ড তৈরি করে প্রতারণা করছে। তাই ফেসবুক শুধুমাত্র পরিচিত ব্যক্তিদের ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে যুক্ত করুন, অন্যথায় অপরিচিত কাউকে ফেন্ড লিষ্টে রাখবেন না।
যেসব আইডিতে কোনো ধরনের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড নেই, আপনি সেটিংস গিয়ে সেট করে রাখতে পারেন যাতে ভুয়া বা ফেইক আইডিগুলো ফেসবুক থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে না পারে।
৮। মেসেজের মাধ্যমে
আবার অনেক অ্যাকাউন্ট মিউচুয়াল ফ্রেন্ড তৈরি করে প্রতারণা করছে। তাই ফেসবুক শুধুমাত্র পরিচিত ব্যক্তিদের ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে যুক্ত করুন, অন্যথায় অপরিচিত কাউকে ফেন্ড লিষ্টে রাখবেন না।
যেসব আইডিতে কোনো ধরনের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড নেই, আপনি সেটিংস গিয়ে সেট করে রাখতে পারেন যাতে ভুয়া বা ফেইক আইডিগুলো ফেসবুক থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে না পারে।
৮। মেসেজের মাধ্যমে
এছাড়া, কোনো অপরিচিত ব্যক্তি যদি হঠাৎ কোনো ধরনের মেসেজের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক পাঠায়, তাহলে সেই লিঙ্কে ক্লিক করা এড়িয়ে চলুন, বেশিরভাগ সময় এই লিঙ্কগুলি ফিশিং স্ক্যাম হয়।
মুলত এ সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আপনি ভুয়া বা ফেইক ফেসবুক আইডি গুলো চিনতে পারবেন। ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে সাবধান থাকবেন, এরা আপনার সাথে সক্ষতা তৈরি করে আপনার গোপন তথ্য বা আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ফেলতে পারে। তাই ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে আপনি সচেতন হউন এবং আপনার বন্ধুবান্ধর বা পরিচিতদের সাবধান থাকতে বলুন।
মুলত এ সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আপনি ভুয়া বা ফেইক ফেসবুক আইডি গুলো চিনতে পারবেন। ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে সাবধান থাকবেন, এরা আপনার সাথে সক্ষতা তৈরি করে আপনার গোপন তথ্য বা আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ফেলতে পারে। তাই ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে আপনি সচেতন হউন এবং আপনার বন্ধুবান্ধর বা পরিচিতদের সাবধান থাকতে বলুন।
শেষ কথা
আর হে শুধু ফেসবুক আইডি খুলে রাখলেই তো হবে না, সেখানে কিছু না কিছু তো পোষ্ট করবেন, ছবি তোলার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শণীয় জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন, আর ঘুরতে যাবার যাবতীয় তথ্য পেতে ভিজিট করুন - ভ্রমণকাল এই সাইটিতে। ধন্যবাদ।