White Hat and Black Hat SEO কি
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আজকে আলোচনা করবো White Hat and Black Hat SEO সম্পর্কে। ইন্টারনেটের ইতিহাস যখন শুরু হয় তখন থেকে এসইও’র যাত্রা শুরু হয়নি। যখন ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ওয়েবসাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে, তখন সকল ওয়েবসাইট গুলোকে একত্রিত করে র্যাংকিং এবং শ্রেণিবিন্যাস করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে। ঠিক তখন থেকেই ওয়েবমাস্টারগণ সার্চ ইঞ্জিন ডেভেলপ করা শুরু করেন। তারা মূলত সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলের উপর প্রচুর পরিমাণে গবেষণা করতেন। আর এভাবেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ SEO এর যাত্রা শুরু হয়। যদিও তখন SEO এর অ্যালগরিদম বর্তমান অবস্থার মতন ছিলো না। বছরের পর বছর সার্চ ইঞ্জিনগুলো বিভিন্ন অ্যালগরিদম পরিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। প্রতিযোগিতার দিক দিয়ে, গুগল বর্তমানে সবার উপরে, সেরা এবং মানসম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিন।{tocify} $title={Table of Contents}
White Hat and Black Hat SEO সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং বিপরীত। Black Hat SEO বলতে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম কানুন না মেনে চুরি বা প্রতারণা করে একটি ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধানের ফলাফল পাতার শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসার পদ্ধতিকে বোঝায়। যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন কোন মানুষ নয়, তাই এর সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করা যায়। আর এই প্রতারণা করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধানের ফলাফল পাতার শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসা যায়।
Black Hat SEO’র পদ্ধতিগুলোর মধ্যে Spamming হচ্ছে অন্যতম। যদি একবার সার্চ ইঞ্জিন এই কৌশল বুঝতে পারে, তবে সেই ওয়েবসাইটকে কালো তালিকায় ফেলে দেয়। সার্চ ইঞ্জিন ওই ওয়েবসাইট এর ইনডেক্স করা সকল তথ্য মুছে ফেলে। যে ওয়েবসাইট একবার সার্চ ইঞ্জনের কালো তালিকায় পরে যায়, তার পতন নিশ্চিত। এমন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে কোনো ব্যবসায় সফল হওয়া যায় না।
White Hat and Black Hat SEO Difference
White Hat SEO’ বলতে সার্চ ইঞ্জিনের সকল নিয়ম কানুন মেনে সম্পূর্ণ বৈধভাবে একটি ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধানের ফলাফল পাতার শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসার পদ্ধতিকে White Hat SEO কেই বোঝানো হয়। এই ধরণের এসইও করা অনেক কষ্টকর। কিন্তু, এটি ঝুঁকিমুক্ত। এর মূল লক্ষ্য থাকে ব্যবহারকারীদের ওপর। হোয়াইট হ্যাট এসইও’র মাধ্যমে অনলাইনে যেকোনো ব্যবসায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব।White Hat and Black Hat SEO সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং বিপরীত। Black Hat SEO বলতে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম কানুন না মেনে চুরি বা প্রতারণা করে একটি ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধানের ফলাফল পাতার শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসার পদ্ধতিকে বোঝায়। যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন কোন মানুষ নয়, তাই এর সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করা যায়। আর এই প্রতারণা করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধানের ফলাফল পাতার শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসা যায়।
Black Hat SEO’র পদ্ধতিগুলোর মধ্যে Spamming হচ্ছে অন্যতম। যদি একবার সার্চ ইঞ্জিন এই কৌশল বুঝতে পারে, তবে সেই ওয়েবসাইটকে কালো তালিকায় ফেলে দেয়। সার্চ ইঞ্জিন ওই ওয়েবসাইট এর ইনডেক্স করা সকল তথ্য মুছে ফেলে। যে ওয়েবসাইট একবার সার্চ ইঞ্জনের কালো তালিকায় পরে যায়, তার পতন নিশ্চিত। এমন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে কোনো ব্যবসায় সফল হওয়া যায় না।
Webmaster Guidelines
প্রথমত সার্চ Search Engine কথা মাথায় রেখে নয় ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে ওয়েবসাইটের পেজ তৈরি করতে হবে এবং ব্যবহারবান্ধব হতে হবে। ব্যবহারকারীর উপকারে আসবে এমন ইউনিক এবং তথ্যসমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। ইমেজ এ অল্ট ট্যাগ এর ব্যবহার করতে হবে। পেজের টাইটেল কনটেন্টের সঙ্গে মিল রাখতে হবে। সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড ব্যবহার করে ইউআরএল তৈরি করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্টিভিটি এবং সোশ্যাল শেয়ার অরগানিক র্যাঙ্ক পেতে সাহায্য করে। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকতে হবে এবং বেশি করে সোশ্যাল শেয়ার করতে হবে। ওয়েবসাইটের গতি দ্রুত করতে হবে। যাতে করে দ্রুত পেজ লোড হয়। গতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং র্যাঙ্ক বৃদ্ধি করে।
ব্যবহারকারীর সঙ্গে কখনো প্রতারণা করা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের স্প্যাম পদ্ধতি অনুসরণ করে র্যাঙ্কিং বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা যাবে না। অটোমেটিক জেনারেটেড কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না। অন্য কারো কনটেন্ট কপি করে তা ব্যবহার করা যাবে না। সার্চ ইঞ্জিনকে একধরনের কনটেন্ট আর ব্যবহারকারীকে আরেক ধরনের কনটেন্ট দেখানো যাবে না। লিংক স্কিম এর অপব্যাবহার করা যাবে না। পপ-আপ বিজ্ঞাপন অর্থাৎ পেজে ক্লিক করলে রি-ডাইরেক্ট করে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় এমন বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যাবে না। অনেক Search Engine পপ-আপ বিজ্ঞাপন পছন্দ করে না। ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ এবং রোবোটস ফাইল ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
ব্যবহারকারীর সঙ্গে কখনো প্রতারণা করা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের স্প্যাম পদ্ধতি অনুসরণ করে র্যাঙ্কিং বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা যাবে না। অটোমেটিক জেনারেটেড কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না। অন্য কারো কনটেন্ট কপি করে তা ব্যবহার করা যাবে না। সার্চ ইঞ্জিনকে একধরনের কনটেন্ট আর ব্যবহারকারীকে আরেক ধরনের কনটেন্ট দেখানো যাবে না। লিংক স্কিম এর অপব্যাবহার করা যাবে না। পপ-আপ বিজ্ঞাপন অর্থাৎ পেজে ক্লিক করলে রি-ডাইরেক্ট করে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় এমন বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যাবে না। অনেক Search Engine পপ-আপ বিজ্ঞাপন পছন্দ করে না। ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ এবং রোবোটস ফাইল ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পরিমাণে কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
On Page SEO কি
On Page SEO’র অনেক গুলো বিষয় আছে। এর মধ্যে পেজের টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন নিয়ে On Page SEO। HTML এর মাধ্যমে On Page SEO করা হয়। তাই On Page SEO’র জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ অর্থাৎ এইচটিএমএল (HTML) সম্পর্কে জানতে হবে। HTML সম্পর্কে না জেনে থাকলে গুগলে অনুসন্ধান করে জেনে নিতে পারেন। এরপর Keywords নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আমরা যখন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে অনুসন্ধান করি তখন ফলাফল হিসেবে পেজের Url, টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দেখতে পাই। টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন দেখে আমরা অনুসন্ধানের ফলাফল থেকে সঠিক ফলাফলটিতে ক্লিক করি। On Page SEO’র জন্য পেজের Url, টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন খুবই গুরুত্তপূর্ণ।Page Title
পেজ টাইটেলে সাধারণত পেজের নাম লেখা হয়। পেজের টাইটেল লেখার জন্য টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। এই ট্যাগের ভিতরে আপনি যা লিখবেন তা আপনার ব্রাউজারের ট্যাবে দেখতে পাওয়া যাবে।
<title> Doridroit । Technology Blog </title>
Page Title লেখার নিয়ম
পেজ টাইটেলে পেজ সম্পর্কে লিখতে হয়। তাই পেজ সম্পর্কে সাজিয়ে ছোট করে লিখতে হবে। টাইটেলের প্রথম দিকে সঠিক Keywords দিয়ে শুরু করতে হবে। প্রত্যেক পেজের জন্য আলাদা এবং ইউনিক টাইটেল লিখতে হবে। টাইটেল খুব ছোট করেও লেখা যাবে না আবার বেশি বড়ও করা যাবে না। সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র পেজ টাইটেলের প্রথম ৬০ অক্ষর দেখায়। তাই ৫০ থেকে ৬০ অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে। অস্পষ্ট টাইটেল এড়িয়ে চলতে হবে। শব্দ গুচ্ছ কমা দিয়ে লেখা যাবে না, বাক্য লিখতে হবে। অনেক সময় এক পেজ থেকে অন্য পেজ পৃথক করতে টাইটেল আলাদা করে লিখতে হয়। টাইটেল আলাদা করে লেখার জন্য অনেকে বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করে থাকে। আসলেই সব প্রতীক ব্যবহার করা উচিত না। শুধু মাত্র নিচে উল্লেখ করা প্রতীক গুলো ব্যবহার করা উচিত।
Meta Description
Meta Description সাধারণত পেজের সারসংক্ষেপ লেখা হয়। Meta Description লেখার জন্য Meta Tag ব্যবহার করতে হয়। এই ট্যাগ টাইটেল ট্যাগের থেকে একটু ভিন্ন। মেটা ট্যাগের ভিতরে বিভিন্ন এট্রিবিউট থাকে। তবে মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জন্য নেম এবং কনটেন্ট এট্রিবিউট ব্যবহার করা হয়। মেটা ডেসক্রিপশন লেখার জন্য প্রথমে মেটা ট্যাগ দিয়ে শুরু করতে হবে। এরপর মেটা ট্যাগের নেম এট্রিবিউটের ভিতরে Description লিখতে হবে এবং কনটেন্ট এট্রিবিউটের ভিতরে পেজের সারসংক্ষেপ লিখতে হবে। আর কনটেন্ট এট্রিবিউটের ভিতরে আপনি যা লিখবেন তা সার্চ ইঞ্জিন দেখাবে।
What is a webmaster?
যে ব্যক্তি এক বা একাধিক ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ করে থাকে তাকে ওয়েবমাস্টার বলে। ওয়েবমাস্টারের দায়িত্বগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে: ওয়েব সার্ভার, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করা, ওয়েবসাইট ডিজাইন করা, ওয়েবসাইট এর পেজ তৈরী এবং সংশোধন করা, বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক পরীক্ষা করা ইত্যাদি। এসইও এর কাজ গুলো ওয়েবমাস্টার করে থাকে। সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েবমাস্টারের জন্য নিদিষ্ট্ৰ একটি পেজ থাকে, যেখানে রেজিস্ট্রেশন করে ওয়েবমাস্টার তার ওয়েবসাইট যুক্ত করতে পারে, সার্চ ইঞ্জিন থেকে অপ্রয়োজনীয় পেজ অপসরণ ইত্যাদি কাজ করতে পারে।