বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ব্যাপারটা কিন্তু খানিকটা হাস্যকরই বটে, সিগারেট কোম্পানি গুলো সিগারেট বানাচ্ছে বিক্রি করছে। আবার সতর্কও করছে, তা অবশ্য ঠেকায় পড়ে বা সরকারের নির্দেশে। সিগারেট কোম্পানি গুলো এই নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য।
একজন ধূমপাই সিগারেট এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো জেনে শুনে সিগারেট কিনছেন এমনটা নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা। হ্যাঁ, একটা সতর্ককারী লেভেল দ্বারা সিগারেট বেচাকেনা থামানো যায় না সত্যি। তবে এটি ধূমপায়ীদের জন্য সিগারেট ছাড়ার একটি Reminder হিসেবে কাজ করতে পারে।
পর্ণ ব্যবহারকারীরা কিন্তু সহজেই তাদের মস্তিষ্কের এসব পরিবর্তন গুলো বুঝতে পারে না, কেননা তাদের মস্তিষ্ক থেকে এতটাই ডোপামিন উৎপন্ন হয় যে অতিরিক্ত ডোপামিনের বোঝা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মস্তিস্ক কিছু পরিমান ডোপামিন রিসেপ্টর কমিয়ে ফেলে।
এই receptor এর কাজ দোপামিনের উপস্থিতি সনাক্ত করা, কিন্তু receptor কমে যাওয়ার ফলে ডোপামিনের পরিমান কমে গেছে বলে মনে হয়। তাই একই রকম পর ব্যবহারকারীকে আর আগের মতো উত্তেজনা দিতে পারে না, গতদিন যে ভিডিও বা ছবি দেখে উত্তেজনা হয়ে ছিল পরদিন তা আর ভালো লাগে না।
নতুন কিছু চাই, আরেকটু বেশি এক্সাইটিং কিছু চাই..! ফলে পর্ণ ব্যবহারকারীরা আরো অধিক পরিমাণে পর্ণ সার্চ করতে থাকে। একে বলা হয় স্কেলেটরি পেইন। এখান থেকে Child Pron Violence. এভাবে ক্রমান্বয়ে Extreme level এর পর্ণনের দিকে ঝুঁকতে থাকে মানুষ।
একটাই উদ্দেশ্য তা হলো অতিরিক্ত পরিমাণে ডোপামিন উৎপাদনের মাধ্যমে আগের উত্তেজনা ফিরে পাওয়া, বা তার চেয়েও বেশি আনন্দ লাভ করা। আচ্ছা যদি বলি মস্তিষ্কের কাছে ড্রাগ আর পর্ণ একই জিনিস বিশ্বাস করবেন..?
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির নিউরো সাইক্রিয়াটিস্ট ডক্টর ভ্যালিরি ভূন, পর্ণ দেখার সময় মানব মস্তিষ্কে কিরূপ পরিবর্তন ঘটে তা নিয়ে গবেষণা চালান। এমন তেইশ জন ব্যক্তি এতে অংশ নেয় যারা চরম মাত্রায় পর্ণাসক্ত। এছাড়া তুলনার জন্য পর্নাসক্ত নয় এমন কিছু ব্যক্তিকেও নেওয়া হয় এসব ব্যক্তিদের পয়েন্ট দেখতে দেওয়া হয় এবং পয়েন্ট দেখার সময় তাদের মস্তিষ্কের আইএমআরআই স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করা হয়।
এই রিপোর্টে যা পাওয়া যায় তা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো, যারা পর্নাশক্ত নয় তাদের কথায় আসা যাক। তাদের মস্তিষ্ক পর্ণ দেখে উত্তেজিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু তার মাত্রা স্বাভাবিক। কিন্তু যারা নিয়মিত পর্ণ দেখে অভ্যস্ত, পর্নাশক্ত, তাদের মস্তিষ্ক দ্বিগুণ পরিমান উত্তেজিত হয়েছে।
স্বাভাবিকের চাইতে দ্বিগুণ পরিমাণ ডোপামিন খরণ হয়েছে, একজন হিরোইন আসক্ত হিরোইন পেলে তার মস্তিষ্কের অবস্থা যেমন হয়, ঠিক তেমন। অবস্থাটা বুঝতে পারছেন পর্ণ আর হিরোইনের মধ্যে তফাৎ কোথায় তাহলে।
জীবনে চলার পথে আমরা যত প্রকার সতর্কবাণী লেভেল দেখেছি তার মধ্যে সবচাইতে কমন হয়তো এটাই। সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে সতর্ক বার্তা, উদ্দেশ্য ধুমপাই কে সচেতন করা নিশ্চয়ই।
{tocify} $title={Table of Contents}
ব্যাপারটা কিন্তু খানিকটা হাস্যকরই বটে, সিগারেট কোম্পানি গুলো সিগারেট বানাচ্ছে বিক্রি করছে। আবার সতর্কও করছে, তা অবশ্য ঠেকায় পড়ে বা সরকারের নির্দেশে। সিগারেট কোম্পানি গুলো এই নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য।
একজন ধূমপাই সিগারেট এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো জেনে শুনে সিগারেট কিনছেন এমনটা নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা। হ্যাঁ, একটা সতর্ককারী লেভেল দ্বারা সিগারেট বেচাকেনা থামানো যায় না সত্যি। তবে এটি ধূমপায়ীদের জন্য সিগারেট ছাড়ার একটি Reminder হিসেবে কাজ করতে পারে।
পর্নোগ্রাফির মরণ কীট
আচ্ছা এই ধরণের সতর্কবার্তা যদি পর্নোগ্রাফিতে দেখানো হতো তাহলে তা কেমন দাঁড়াতো.? সংবিধি বদ্ধ সতর্কীকরণ, এই ভিডিও আপনার স্বাভাবিক চিন্তা প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাবে। আপনাকে আসক্তির দিকে নিয়ে যাবে, আপনার জীবন ধ্বংস করবে। না, এমনটা বলা হয় না পর্ন ভিডিওতে।
পর্নোগ্রাফি বর্তমান সময়ে বহু আলোচিত সমালোচিত ও বিতর্কিত এক টপিক। একেবারে আনকোরা কোন বিষয় না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে পর্নোগ্রাফির ভায়াল কালো থাবা গ্রাস করে নিচ্ছে আমাদের গোটা সমাজকে, তাতে এ নিয়ে কথা ওঠাই স্বাভাবিক।
একবিংশ শতাব্দীর এই চরম উৎকর্ষের যুগে ইন্টারনেটের কল্যানে গোটা পৃথিবী আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেটের হাত ধরে হাজারো কল্যাণ যেমন সাধিত হচ্ছে তেমনি পর্নোগ্রাফির মতো মরণ কীটও ঢুকে গেছে আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
বিশেষ করে যুব সমাজের একটি বড় অংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত, আপনার আশেপাশের অনেকেই রয়েছে এই দলে। কিন্তু এই নিয়ে সতর্কবার্তা বা খোলাখুলি আলোচনাকে একপ্রকার ডেমো বানিয়ে রাখা হয়েছে আমাদের দেশে। আজ আমরা চেষ্টা করবো এই ডেমো ভাঙতে।
বিজ্ঞানের আলোকে বোঝার চেষ্টা করবো কেন আমাদের যুবসমাজ বুধ হয়ে আছে পর্নের ভয়াল নেশায়।
এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে বর্তমানে মোটামুটি তেরো বছর বয়সের মধ্যেই কিশোররা পর্নোগ্রাফির সাথে পরিচিত হয়।
শুরুটা বুঝে শুনে হয় না নিশ্চয়ই, কি বা আর বয়স তখন? সাধারণত লুকিয়ে লুকিয়ে সফটওকোর পর্ণ দেখার মাধ্যমেই শুরু হয়।
এসব হাতে পায়ে কিভাবে তা নিয়ে আলাপ করা বোকামি, ইন্টারনেটের এই যুগে মাত্র দুই থেকে তিন ক্লিকেই পর্ণ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
মেডিক্যাল সাইন্স অনুযায়ী আমাদের মস্তিষ্কের প্রি ফ্রন্টাল কটাক্ষ অংশের মাধ্যমে আমরা আমাদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি, এই প্রি ফ্রন্টাল কোর্টেক্স সুগঠিত হয় বিশ থেকে তিরিশ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময়। ফলে কৈশোরে অত ভালো মন্দ বাদ বিচার করার সামর্থ্য আমাদের থাকে না।
এজন্য ভালো খারাপের তোয়াক্কা না করেই পর্ণে ঝুঁকে পরে মানুষ। এরপর দিন যত যায় আসক্তি ততই বাড়তে থাকে। কিন্তু কেন? দেখুন মানুষের মস্তিষ্ক বড় অদ্ভুত জিনিস, আমাদের মস্তিষ্কের গভীরে রিওয়ার্ড প্যাথ ওয়ে বা পুরস্কার তৈরির পথ বলে একটি ব্যাপার থাকে।
এই Reward প্যাথের কাজ আপনাকে পুরস্কৃত করা, সহজভাবে বলতে গেলে মস্তিষ্কের এই সার্কিট আপনাকে আনন্দ দেওয়ার কাজটি করে থাকে। নিজের পছন্দের খাবার খেতে কে না ভালোবাসে বলুন? যখন পছন্দের খাবার খাওয়া হয় তখন আমাদের মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়।
সাধারণত যে রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় তার নাম হচ্ছে ডোপামিল। কিছু ক্ষেত্রে অক্সিটোসিনও নির্গত হয়। দেখা গেছে পছন্দের খাবার সামনে পেলে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে দেড় গুণ বেশি ডোপামিল রিলিজ হয়, একইভাবে সেক্স মাদক গ্রহণ এইসব কাজেও এ রাসায়নিক পদার্থ গুলি ব্যাপক হারে উৎপন্ন হয়ে থাকে।
সেক্সের সময় ডোপামিন ক্ষরণ দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে. যা মর্ফিন আশক্তির সমান। এই ডোপামিন ও অক্সিটোসিনের কাজ আমাদের পরিতৃপ্তি অনুভব করানো। বিভিন্ন মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করা এবং আনন্দদায়ক কোনো কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। তবে এর একটা সমস্যাও আছে, এই Reward Path ওয়ে হাইজ্যাক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তা কি রকম? সাধারণত যে কাজ করতে আমাদের ভালো লাগে তার যত বেশি পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয় ততো বেশি Reward path তৈরী হয় আমাদের মস্তিষ্কে। কথাটা পর্না আশক্তির বেলাতেও খাটে,
একজন পর্নাডিক যত বেশি পর্ন দেখে তার মস্তিষ্কে তত বেশি Reward Path উৎপন্ন হয়, ফলে মস্তিষ্কের চাহিদা বাড়তেই থাকে। পর্ণ দেখার জন্য মন ছটফট করতে থাকে।
পর্নোগ্রাফি বর্তমান সময়ে বহু আলোচিত সমালোচিত ও বিতর্কিত এক টপিক। একেবারে আনকোরা কোন বিষয় না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে পর্নোগ্রাফির ভায়াল কালো থাবা গ্রাস করে নিচ্ছে আমাদের গোটা সমাজকে, তাতে এ নিয়ে কথা ওঠাই স্বাভাবিক।
একবিংশ শতাব্দীর এই চরম উৎকর্ষের যুগে ইন্টারনেটের কল্যানে গোটা পৃথিবী আজ আমাদের হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেটের হাত ধরে হাজারো কল্যাণ যেমন সাধিত হচ্ছে তেমনি পর্নোগ্রাফির মতো মরণ কীটও ঢুকে গেছে আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
বিশেষ করে যুব সমাজের একটি বড় অংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত, আপনার আশেপাশের অনেকেই রয়েছে এই দলে। কিন্তু এই নিয়ে সতর্কবার্তা বা খোলাখুলি আলোচনাকে একপ্রকার ডেমো বানিয়ে রাখা হয়েছে আমাদের দেশে। আজ আমরা চেষ্টা করবো এই ডেমো ভাঙতে।
বিজ্ঞানের আলোকে বোঝার চেষ্টা করবো কেন আমাদের যুবসমাজ বুধ হয়ে আছে পর্নের ভয়াল নেশায়।
এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে বর্তমানে মোটামুটি তেরো বছর বয়সের মধ্যেই কিশোররা পর্নোগ্রাফির সাথে পরিচিত হয়।
Reed More:>> পর্নোগ্রাফি আসক্তি প্রভাব ও প্রতিকার
শুরুটা বুঝে শুনে হয় না নিশ্চয়ই, কি বা আর বয়স তখন? সাধারণত লুকিয়ে লুকিয়ে সফটওকোর পর্ণ দেখার মাধ্যমেই শুরু হয়।
এসব হাতে পায়ে কিভাবে তা নিয়ে আলাপ করা বোকামি, ইন্টারনেটের এই যুগে মাত্র দুই থেকে তিন ক্লিকেই পর্ণ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
মেডিক্যাল সাইন্স অনুযায়ী আমাদের মস্তিষ্কের প্রি ফ্রন্টাল কটাক্ষ অংশের মাধ্যমে আমরা আমাদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি, এই প্রি ফ্রন্টাল কোর্টেক্স সুগঠিত হয় বিশ থেকে তিরিশ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময়। ফলে কৈশোরে অত ভালো মন্দ বাদ বিচার করার সামর্থ্য আমাদের থাকে না।
এজন্য ভালো খারাপের তোয়াক্কা না করেই পর্ণে ঝুঁকে পরে মানুষ। এরপর দিন যত যায় আসক্তি ততই বাড়তে থাকে। কিন্তু কেন? দেখুন মানুষের মস্তিষ্ক বড় অদ্ভুত জিনিস, আমাদের মস্তিষ্কের গভীরে রিওয়ার্ড প্যাথ ওয়ে বা পুরস্কার তৈরির পথ বলে একটি ব্যাপার থাকে।
এই Reward প্যাথের কাজ আপনাকে পুরস্কৃত করা, সহজভাবে বলতে গেলে মস্তিষ্কের এই সার্কিট আপনাকে আনন্দ দেওয়ার কাজটি করে থাকে। নিজের পছন্দের খাবার খেতে কে না ভালোবাসে বলুন? যখন পছন্দের খাবার খাওয়া হয় তখন আমাদের মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়।
সাধারণত যে রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় তার নাম হচ্ছে ডোপামিল। কিছু ক্ষেত্রে অক্সিটোসিনও নির্গত হয়। দেখা গেছে পছন্দের খাবার সামনে পেলে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে দেড় গুণ বেশি ডোপামিল রিলিজ হয়, একইভাবে সেক্স মাদক গ্রহণ এইসব কাজেও এ রাসায়নিক পদার্থ গুলি ব্যাপক হারে উৎপন্ন হয়ে থাকে।
সেক্সের সময় ডোপামিন ক্ষরণ দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে. যা মর্ফিন আশক্তির সমান। এই ডোপামিন ও অক্সিটোসিনের কাজ আমাদের পরিতৃপ্তি অনুভব করানো। বিভিন্ন মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করা এবং আনন্দদায়ক কোনো কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। তবে এর একটা সমস্যাও আছে, এই Reward Path ওয়ে হাইজ্যাক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তা কি রকম? সাধারণত যে কাজ করতে আমাদের ভালো লাগে তার যত বেশি পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয় ততো বেশি Reward path তৈরী হয় আমাদের মস্তিষ্কে। কথাটা পর্না আশক্তির বেলাতেও খাটে,
একজন পর্নাডিক যত বেশি পর্ন দেখে তার মস্তিষ্কে তত বেশি Reward Path উৎপন্ন হয়, ফলে মস্তিষ্কের চাহিদা বাড়তেই থাকে। পর্ণ দেখার জন্য মন ছটফট করতে থাকে।
পর্ণ ব্যবহারকারীরা কিন্তু সহজেই তাদের মস্তিষ্কের এসব পরিবর্তন গুলো বুঝতে পারে না, কেননা তাদের মস্তিষ্ক থেকে এতটাই ডোপামিন উৎপন্ন হয় যে অতিরিক্ত ডোপামিনের বোঝা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মস্তিস্ক কিছু পরিমান ডোপামিন রিসেপ্টর কমিয়ে ফেলে।
এই receptor এর কাজ দোপামিনের উপস্থিতি সনাক্ত করা, কিন্তু receptor কমে যাওয়ার ফলে ডোপামিনের পরিমান কমে গেছে বলে মনে হয়। তাই একই রকম পর ব্যবহারকারীকে আর আগের মতো উত্তেজনা দিতে পারে না, গতদিন যে ভিডিও বা ছবি দেখে উত্তেজনা হয়ে ছিল পরদিন তা আর ভালো লাগে না।
নতুন কিছু চাই, আরেকটু বেশি এক্সাইটিং কিছু চাই..! ফলে পর্ণ ব্যবহারকারীরা আরো অধিক পরিমাণে পর্ণ সার্চ করতে থাকে। একে বলা হয় স্কেলেটরি পেইন। এখান থেকে Child Pron Violence. এভাবে ক্রমান্বয়ে Extreme level এর পর্ণনের দিকে ঝুঁকতে থাকে মানুষ।
একটাই উদ্দেশ্য তা হলো অতিরিক্ত পরিমাণে ডোপামিন উৎপাদনের মাধ্যমে আগের উত্তেজনা ফিরে পাওয়া, বা তার চেয়েও বেশি আনন্দ লাভ করা। আচ্ছা যদি বলি মস্তিষ্কের কাছে ড্রাগ আর পর্ণ একই জিনিস বিশ্বাস করবেন..?
পর্ণোগ্রাফি ও মাদক
আপাতদৃষ্টিতে বিভিন্ন ড্রাগ ও পর্নের মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না ঠিকই, তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষণা কিন্তু এ কথাই বলছে।
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির নিউরো সাইক্রিয়াটিস্ট ডক্টর ভ্যালিরি ভূন, পর্ণ দেখার সময় মানব মস্তিষ্কে কিরূপ পরিবর্তন ঘটে তা নিয়ে গবেষণা চালান। এমন তেইশ জন ব্যক্তি এতে অংশ নেয় যারা চরম মাত্রায় পর্ণাসক্ত। এছাড়া তুলনার জন্য পর্নাসক্ত নয় এমন কিছু ব্যক্তিকেও নেওয়া হয় এসব ব্যক্তিদের পয়েন্ট দেখতে দেওয়া হয় এবং পয়েন্ট দেখার সময় তাদের মস্তিষ্কের আইএমআরআই স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করা হয়।
এই রিপোর্টে যা পাওয়া যায় তা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো, যারা পর্নাশক্ত নয় তাদের কথায় আসা যাক। তাদের মস্তিষ্ক পর্ণ দেখে উত্তেজিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু তার মাত্রা স্বাভাবিক। কিন্তু যারা নিয়মিত পর্ণ দেখে অভ্যস্ত, পর্নাশক্ত, তাদের মস্তিষ্ক দ্বিগুণ পরিমান উত্তেজিত হয়েছে।
স্বাভাবিকের চাইতে দ্বিগুণ পরিমাণ ডোপামিন খরণ হয়েছে, একজন হিরোইন আসক্ত হিরোইন পেলে তার মস্তিষ্কের অবস্থা যেমন হয়, ঠিক তেমন। অবস্থাটা বুঝতে পারছেন পর্ণ আর হিরোইনের মধ্যে তফাৎ কোথায় তাহলে।
পর্ণ আশক্তি ও ডিপ্রেসণ
পর্ণ আশক্তির আরেকটা বড় কারণ হতে পারে ডিপ্রেসণ, শুরুতে যখন কেউ পর্ণ দেখে তার মধ্যে এক প্রকার অনুশোচনা বা পরিতাব বোধ হয়। এই জিনিস দেখা যে ভালো কিছু নয়, তা বুঝতে আইনেস্টাইন হবার প্রয়োজন নেই সবাই বোঝে। কিন্তু ওই যে পর্নাশক্তি মাদকাসক্তির মতোই মারাত্মক।
একবার পর্ণ দেখতে মন চাইলে তা না দেখা পর্যন্ত শান্ত হয় না মস্তিষ্ক, ফলে প্রায় সময়ই নিজের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। শুরু হয় পর্ণ দেখা, শেষও হয় একটা সময়। তারপরে ঘিরে ধরে অপরাধবোধ, সেখান থেকেই রাজ্যের হতাশা, Self Confidence Low হয়ে যায়, কমে যায় টেস্টোরেন হরমোন। যা কাজে লাগে পুরুষের উৎসাহ, উদ্দীপনা কর্মউদম সৃষ্টিতে।
টেস্টোরেন কমে যাওয়ায় প্রোডাক্টিভ কাজে আগের মতো আগ্রহ জন্মে না, ব্যক্তি জীবনে কর্মজীবনে নামে ধস। হতাশা আরো বাড়ে, এই হতাশা থেকে বাঁচার উপায় কি..?
খুব অল্প পরিমাণে ডোপামিন সর্ট আর তা পাওয়ার উপায় কি? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আবারো পর্ণ দেখা। এভাবে পর্ণ দেখা ডিপ্রেশন, ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে আবারো পণ দেখা, এমন এক দুষ্টুচক্রে আটকে যায় পর্ণাসক্তরা, আর এ এমন এক চক্র তা ভেধ করে বাইরে আশা সহজ কোন কাজ নয় মোটেও।
এভাই মানুষ পর্ণাসক্ত হয়ে পড়ে, আর এ যে ভয়াবহ মাদকের মতো আসক্তি তা হয়তো এতোক্ষণে বুঝতে বাকি নেই কারোর। কিন্তু এই আসক্তির ক্ষতিকর দিক কি কি.? আমাদের সমাজে এর প্রভাব কতটুকু.? এ থেকে বাচার উপায় বা কি.? এমন হাজারো প্রশ্ন মনের কোনে উঁকি দেয়াটাই স্বাভাবিক।
এসবের উত্তর আমরা খুঁজবো নিশ্চয়ই, পর্নোগ্রাফির নোংরা নর্দমায় একবার যখন নেমেই পড়েছি এর শেষটা কোথায় দেখে নেব। তবে আজ নয় অন্য আরেকদিন আরেকটি আর্টিকেলে।
একবার পর্ণ দেখতে মন চাইলে তা না দেখা পর্যন্ত শান্ত হয় না মস্তিষ্ক, ফলে প্রায় সময়ই নিজের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। শুরু হয় পর্ণ দেখা, শেষও হয় একটা সময়। তারপরে ঘিরে ধরে অপরাধবোধ, সেখান থেকেই রাজ্যের হতাশা, Self Confidence Low হয়ে যায়, কমে যায় টেস্টোরেন হরমোন। যা কাজে লাগে পুরুষের উৎসাহ, উদ্দীপনা কর্মউদম সৃষ্টিতে।
টেস্টোরেন কমে যাওয়ায় প্রোডাক্টিভ কাজে আগের মতো আগ্রহ জন্মে না, ব্যক্তি জীবনে কর্মজীবনে নামে ধস। হতাশা আরো বাড়ে, এই হতাশা থেকে বাঁচার উপায় কি..?
খুব অল্প পরিমাণে ডোপামিন সর্ট আর তা পাওয়ার উপায় কি? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আবারো পর্ণ দেখা। এভাবে পর্ণ দেখা ডিপ্রেশন, ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে আবারো পণ দেখা, এমন এক দুষ্টুচক্রে আটকে যায় পর্ণাসক্তরা, আর এ এমন এক চক্র তা ভেধ করে বাইরে আশা সহজ কোন কাজ নয় মোটেও।
এভাই মানুষ পর্ণাসক্ত হয়ে পড়ে, আর এ যে ভয়াবহ মাদকের মতো আসক্তি তা হয়তো এতোক্ষণে বুঝতে বাকি নেই কারোর। কিন্তু এই আসক্তির ক্ষতিকর দিক কি কি.? আমাদের সমাজে এর প্রভাব কতটুকু.? এ থেকে বাচার উপায় বা কি.? এমন হাজারো প্রশ্ন মনের কোনে উঁকি দেয়াটাই স্বাভাবিক।
এসবের উত্তর আমরা খুঁজবো নিশ্চয়ই, পর্নোগ্রাফির নোংরা নর্দমায় একবার যখন নেমেই পড়েছি এর শেষটা কোথায় দেখে নেব। তবে আজ নয় অন্য আরেকদিন আরেকটি আর্টিকেলে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বিন্দু কেমন লাগলো আজকেরে এই আর্টিকেল কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। এমন আরো তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভজিট করুন। এবং সব সময় সবার আগে সব ধরনের আপডেট পেতে আমাদের Google News ফিড ফলো করে রাখুন। ভালো থাকবেন সবাই, সুস্থ থাকবেন।