ক্রমাগত উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ
বদলে গেছে বাংলাদেশ, উন্নত বিশ্বের মতো বংলাদেশের মানুষও এখন মেট্রোরেলে চড়ে। শুধু কি তাই স্যাটেলাইট দিয়ে মহাকাশের অজানার পানে পাড়ি দিয়েছে লাল সবুজের দেশ। আজ গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট, কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন। গতিশীল হয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা, এই বদলে যাওয়ার পেছনে সব চেয়ে বড়ো ভূমিকা রেখেছে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আর তা সম্ভব হয়েছে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই।
{tocify} $title={Table of Contents}
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সড়ক পথের দূরত্ব প্রায় একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার. আর এই দীর্ঘ পথের যনজট কমাতে গড়ে উঠছে দোহাজারী কক্সবাজার রেল লাইন। ও ঢাকা, মাওয়া, ভাঙা সুপার এক্সপ্রেসের ভাঙ্গাগোল চত্বর. মহাসড়ক যোগাযোগে যোগ করেছে নতুন মাত্রা. দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকাকে যুক্ত করেছে এটি। সড়ক টি দু'হাজার বিশ সালের বারোই মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসে চালু হলে ঢাকা শহরের উত্তর ও দক্ষিণাংশের সংযোগ সহজ হবে। ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বাড়বে, যাত্রার সময় কমবে এবং এ পথে ভ্রমণ হবে আরামদায়ক। দু'হাজার তেইশ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এছাড়াও কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য পর্যায়ক্রমে চার হাজার চারশো নয়টি ফ্লাট নির্মাণ এবং ঢাকায় বস্তি বাসীদের জন্য মিরপুরে দশ হাজার ফ্লাট নির্মাণের বিষয়টি উঠে আসছে সরকার প্রধানের ভাষণে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
গেলো এক যুগে বর্তমান সরকারের নেওয়া প্রকল্প গুলো বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে, দুহাজার আঠেরো সালের বারোই মে মহাকাশের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু এক।পদ্মা সেতু
দেশীয় অর্জনের ক্যানভাসে পড়ে তুলির আর একটি রঙিন আচর, কোটি কোটি বাঙালির স্বপ্নের অবকাঠামো পদ্মা সেতু। অনেক বাধা আর অনিশ্চয়তার গণ্ডি পেরিয়ে ছয় দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশের মোট আয়তনের শতকরা উনত্রিশ ভাগ বা চুয়াল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকার একুশ জেলার তিন কোটিরও বেশি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছে এই সেতুর মাধ্যমে।মেট্রোরেল
গৌরবময় বিজয়ের একান্ন বছরে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো একটি পালক যুক্ত হয়েছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর গত আঠাশ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। জনসাধারণ চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয় ঊনত্রিশ ডিসেম্বর।ওয়ান সিটি টু টাউন
চীনের সাংহাই শহরের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। যা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়, নতুন বছরে অর্থনীতির গতি বাড়াবে জাতির জনকের নামে করা এই টানেলটি।চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সড়ক পথের দূরত্ব প্রায় একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার. আর এই দীর্ঘ পথের যনজট কমাতে গড়ে উঠছে দোহাজারী কক্সবাজার রেল লাইন। ও ঢাকা, মাওয়া, ভাঙা সুপার এক্সপ্রেসের ভাঙ্গাগোল চত্বর. মহাসড়ক যোগাযোগে যোগ করেছে নতুন মাত্রা. দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকাকে যুক্ত করেছে এটি। সড়ক টি দু'হাজার বিশ সালের বারোই মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ
রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিশ্বে পদার্পণ করে। সেই সাথে বিশ্ব পরমাণু ক্লাবের সদস্য পদ লাভ করেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প এটি। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি পঞ্চাশ শতাংশ, প্রথম ইউনিট থেকে দু হাজার তেইশ সালের ফেব্রুয়ারী তে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।পায়রা সমুদ্র বন্দর
দু'হাজার তেরো সালের উনিশ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুদ্র বন্দর উদ্বোধন করেন। এখন পর্যন্ত দুশো ছত্রিশটি সমুদ্রগামী জাহাজ এই বন্দর এসেছে, যার মাধ্যমে প্রায় পাঁচশো আটচল্লিশ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।মাতার বাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতার বাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে দু হাজার চব্বিশ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। দ্বিতীয় ইউনিটে শুরু হবে একই বছরে জুলাই মাসে।গভীর সমুদ্র বন্দর
দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে। বন্দরটি হলে প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটান এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য ব্যবহার করতে পারবে এই বন্দরটি, বন্দরটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি কেন্দ্রে পরিণত হবে।ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসে চালু হলে ঢাকা শহরের উত্তর ও দক্ষিণাংশের সংযোগ সহজ হবে। ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বাড়বে, যাত্রার সময় কমবে এবং এ পথে ভ্রমণ হবে আরামদায়ক। দু'হাজার তেইশ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
একশোটি অর্থনৈতিক অঞ্চল
দু'হাজার ত্রিশ সাল নাগাদ সারা দেশে একশোটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার মহা কর্মযোগ্য হাতে নিয়েছে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার। বাস্তবায়নকারী সংস্থা বেজার হিসেবে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে সব মিলে সেখানে এক কোটি মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে।একশো সড়ক
বাংলাদেশের মহাসড়ক গুলোকে Smart Highway হিসেবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে সরকারের. এজন্য সারা দেশের নদী খাল বিলের দুই পারের সংযোগ ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি অনগ্রসর অঞ্চলগুলোকে যোগাযোগ কাঠামোতে আনার চেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে গত সাত নভেম্বর সারা দেশে একদিনে শত সেতু উদ্বোধন করা হয়, শত সেতুর পর সর্বশেষ গত একুশ ডিসেম্বর দেশের একশো সড়কের অংশবিশেষ নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন করা সড়কের মোট দৈর্ঘ্য দুই হাজার একুশ কিলোমিটারমডেল মসজিদ
এছাড়াও দেশের প্রতি জেলা ও উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন পাঁচশো ষাটটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করেছে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার। ভূমিহীন ও গৃহহীন কিংবা যার জমি আছে ঘর নেই, এমন পরিবারের জন্য বাসস্থান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।এছাড়াও কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য পর্যায়ক্রমে চার হাজার চারশো নয়টি ফ্লাট নির্মাণ এবং ঢাকায় বস্তি বাসীদের জন্য মিরপুরে দশ হাজার ফ্লাট নির্মাণের বিষয়টি উঠে আসছে সরকার প্রধানের ভাষণে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা
স্বাস্থ্য খাতেও সরকারের অভাবনীয় উন্নয়ন দৃশ্যমান। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সারা দেশে আঠারো হাজার-পাঁচশটি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়েতোলা হয়েছে। যেগুলো থেকে গ্রামীণ নারী শিশু সহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে বিনামূল্যে ঔষুধও দেওয়া হয়।বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
এছাড়াও বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে বারোটি নতুন অত্যাধুনিক বোয়িং এবং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ সংযোজিত হয়েছে। সংযোজিত হয়েছে আরো তিনটি DSR 400 উড়োজাহাজ।আর এভাবেই তিলে তিলে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ......